আমতলীর ব্যবসায়ী নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামী ফারিয়া জান্নাতি মীম, আতিক মঞ্জু গাজী, হাসান মেহেদী মিঠু গাজী ও প্রিন্স মিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নান্নু মোল্লার ছেলে নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়ের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ী চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতি মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর স্বামী তনয় জানতে পারে তার স্ত্রী মীমের আরো একটি বিয়ে হয়েছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্ধ হয়। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মীমকে স্বামী নিয়াজ তালাক দেয়। তালাক নোটিশ পেয়ে ১৭ অক্টোবর মীম তার স্বামী নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয়ের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ তনয়কে গ্রেপ্তার করেন। এ মামলায় তনয় ১১ দিন জেল হাজতে ছিল। স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্বামী তনয়কে বিভিন্ন ভাবে বুলিং ও হয়রানী করতো। এতে নিয়াম মোর্শ্বেদ তনয় মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। ফলে সে আত্মহত্যার সিধান্ত নেয়। গত বছর ২৯ নভেম্বর ভোররাতে তনয় সাবেক স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ীর ও তার স্বজনদের নির্যাতনের বর্ননা স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষপান করেন। ওই বছর ৩০ নভেম্বর ঢাকা শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত বছর ৫ ডিসেম্বর আমতলী থানায় তনয়ের বড় বোন অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে তনয়ের স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীমকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার আসমাীরা বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তয়নের সাবেক স্ত্রী আসামী ফারিয়া জান্নাতি মীম, আতিক মঞ্জু গাজী, হাসান মেহেদী মিঠু গাজী ও প্রিন্স এ চারজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অপর আসামীদের জামিন দেন।
মামলার বাদী আইনজীবি তানিয়া আক্তার বলেন, আদালতের বিচারক চারজনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আমি ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করি।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, আদালতের বিচারক চারজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, অপর আসামীদের জামিন দেয়া হয়েছে।