মাঝে মধ্যেই পেট কামড়ে ধরে, পেটের ব্যাথায় থাকা দায় হয়ে পড়ে। এর কারণ হতে পারে কৃমি (Worm)। বর্তমান সময়ে কৃমির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। মূলত, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে গেলে অনেক সময় কৃমির সমস্যা বেড়ে আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে পেট ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণাই (Stomach ache and headache) নয়, আপনার শরীরে যে কৃমি বাসা বেঁধেছে, তা বোঝার জন্য বেশ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃমি বাসা বাঁধলে অস্থিরতা, অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা, অবসাদে ভোগা, আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়ার মত সমস্যাগুলি দেখা যায়। পাশাপাশি রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সিও এর মধ্যে রয়েছে। কাজেই সুস্থ থাকতে তড়িঘড়ি শরীর থেকে কৃমি বের করে দেওয়াই উচিত। কিন্তু কীভাবে মুক্তি পাবেন কৃমির হাত থেকে? জানেন কি, সাধারণ ঘরোয়া খাবারেই (Home) এদের তাড়ানো সম্ভব! ভাবছেন কীভাবে?
গাজর: কৃমির সমস্যা দূর করতে রোজ সকালে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন গাজর। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জিঙ্ক কৃমি আটকাতে সাহায্য করে। এটি আপনার সমস্যা রুখতে সাহায্য করবে। .
নিমপাতা: কৃমির জন্য তেতো খেতে বলেন বয়স্ক মানুষরা। এজন্য আপনাকে কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। তবে যে পাত্রে পাতাবাটা রাখবেন, তাতে যেন হাওয়া-বাতাস না ঢুকতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখুন।
লবঙ্গ: লবঙ্গের থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমির ডিম মেরে দিতে সহায়ক। কৃমির হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ১-২টি লবঙ্গ খান। এছাড়া এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট জ্বাল দিন। তার পরে সেই জল পান করুন।
কুমড়োর বীজ: কৃমি দূর করতে মিষ্টি কুমড়োর বীজও উপকারী। এজন্য কয়েকটি কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার সম পরিমাণ জল ও নারকেলের দুধের মিশ্রণের মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন।
হলুদ: কাঁচা হলুদে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে, যা কৃমির সমস্যা দূর করে চটজলদি। এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। এছাড়াও আধ কাপ গরম জলে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণ ৫ দিন পর পর খেলে কৃমি দূর হবে দ্রুত।