সংকট কাটিয়ে আবারও সচল হয়েছে দেশের সবচেয়ে রফতানি আয়ের উৎস তৈরি পোশাক খাত। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টের পর থেকেই এই খাতের রফতানি আয় বাড়ছে।
এর আগে বিগত আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই এই খাতের রফতানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল। এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেক কারখানার মালিক যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ছিলেন, তারা পালিয়ে যান। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে বিভিন্ন কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে। এতে গার্মেন্ট শিল্পে নতুন সংকট তৈরি হয়। তবে সেই সংকট কাটিয়ে আবারও সচল হয়েছে এই খাতের রফতানি আয়।
পোষাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোশাক খাত এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্যাস সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ এই জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে এই প্রবৃদ্ধি আরও এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিক বা অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) থেকে মোট রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যা আগের প্রান্তিক বা জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আসা রফতানি আয়ের চেয়ে ৮৫ কোটি ডলার বেশি। এছাড়াও গত বছরের তুলনায় ১৬২ কোটি ডলার বেশি রফতানি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ বছরের শেষ প্রান্তিকে বাংলাদেশের আরএমজি রফতানির শীর্ষ গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, কানাডা এবং বেলজিয়াম। এই নয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশ (আরএমজি থেকে) এক হাজার ৩৬ কোটি কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা মোট আরএমজি রফতানির ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তার আগের বছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৭৪ কোটি ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৬২ কোটি ডলার। এছাড়াও জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ছিল ৯৫১ কোটি ২১ লাখ ডলার। সে হিসেবে বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলার।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তৈরি পোশাকের নেট রফতানি (আরএমজি রফতানি মূল্য থেকে কাঁচামাল আমদানি মূল্য বিয়োগ করে নির্ধারিত) ছিল ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার বা মোট আরএমজি রফতানির ৬১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।