শীত শেষের দিকে। ভোরের দিকে ঠাণ্ডা লাগলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। আরএই পরিবর্তিত আবহাওয়ায়ই (changing weather conditions) বাড়ে অস্বস্তি। ঠাণ্ডা-গরমে সর্দি-কাশির মত সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এমন আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখা প্রতিটি বয়সের মানুষের জন্যই বড় মাথাব্যথার কারণ। এমন পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় নাক এবং গলার সংক্রমণ সাধারণ। এগুলো মূলত, ২০০ টিরও বেশি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের কারণে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এমন আবহাওয়ায় হওয়া সংক্রমণ একজন থেকে অন্যজনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে এটি সহজেই অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এটি কেবল সংক্রামিত স্থান স্পর্শ করলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এবার জেনে নেয়া যাক- কেন ঠাণ্ডা লাগে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে এর সম্পর্ক কী- এজন্য প্রথমে জানতে হবে ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণগুলো। যার মধ্যে রয়েছে: সর্দি হাঁচি গলা ব্যথা মাথাব্যথা শরীর ব্যথা কাশি
তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি নিম্নলিখিত রূপ নিতে পারে: সাধারণ সর্দি-কাশির মতো বেশিরভাগ সংক্রমণ রাইনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। এটি নাকের ভেতরে উপস্থিত কোষগুলিতে লেগে থাকে। যা থেকে এই সমস্যা শুরু হয়। এতে ভাইরাসটি উপরের শ্বাস নালীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রায় রাইনোভাইরাস দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। নাকের ভেতরেরতাপমাত্রা প্রায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাইনোভাইরাসের জন্য একটি নিখুঁত পরিবেশ তৈরি করে। তবে এই গবেষণার এখনও আরও নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন।
ঠাণ্ডা লাগা এড়াতে কী করবেন? দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্রুত ঠাণ্ডা লাগে। তাই সমস্য়া এড়াতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নাক ও মুখে পরিষ্কার কাপড় রাখুন। উচ্ছিষ্ট খাবার খাবেন না। নিয়মিত হাত ধোবেন। ভিটামিন সি এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি খান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।