একটি ভাইরাসজনিত রোগ বার্ড ফ্লু (Bird flu)। যা পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একদিকে এইচএমপিভির আতঙ্ক, অন্যদিকে এই ভাইরাস থাবা বসালে, বুক দুরুদুরু তো করবেই। হাঁস, মুরগির খামারে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়ায়, এটাই জানা ছিল এতোদিন। তবে আপনি কি জানেন, বার্ড ফ্লু কেবল খাবার খেলেই নয়, বরং খাবার ফ্রিজে রাখার মাধ্যমেও (Bird flu) ছড়াতে পারে?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্ড ফ্লু আসলে একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। আর মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হয়েই থাকে। কাজেই বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে এলে মানুষের শরীরেও ভাইরাস ঢুকতে পারে, এই নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে আতঙ্কের বিষয় হল, পরিবারের একজনের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকলে, তার থেকে আরও পাঁচজনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, কোন জিনিসগুলি ফ্রিজে রাখলে বার্ড ফ্লু ছড়ায় তা জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রিজে পোষ্যের খাবার রাখবেন না। অনেকে তাদের পোষ্যের খাবারও ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এতেও কিন্তু ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই পোষ্যের খাবার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। এটি ফ্রিজে রাখা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। ডিমের মাধ্যমেও ছড়ায় ডিমও বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে।
মূলত, ডিমগুলো পোল্ট্রি ফার্মের মাধ্যমেও আপনার ফ্রিজে এসে পৌঁছয়। তারপর এগুলোকে আপনি বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে রেখে দেন। অর্থাৎ ডিমগুলো না খাওয়া পর্যন্ত ফ্রিজে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মুরগি বা কাঁচা অন্যান্য মাংস মুরগি বা অন্যান্য কাঁচা মাংস বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়ানোর উৎস হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন আপনি মুরগির মাংস ফ্রিজে রাখেন, তখন এই মাংসে বার্ড ফ্লু ভাইরাস বেশ কয়েক দিন জীবিত থাকে। তারপর যখন এই মাংসের সংস্পর্শে আরও অনেক কিছু আসে, তখন ভাইরাসটি সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে।
মুরগির মাংস, ডিম এবং অন্যান্য পণ্যের মতো পোষ্যের খাবারও বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়ানোর উৎস হতে পারে। তাই এই পণ্যগুলো রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
এছাড়াও বার্ড ফ্লু এড়াতে আপনার বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং উল্লেখিত পণ্যগুলোকে নিরাপদে সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি পাখির সংস্পর্শে আসেন, তাহলে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত এবং মুখ ঢেকে রাখা উচিত। পাশাপাশি নাক-মুখ দিয়ে জল পড়া, হাঁচি-কাশি, গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা, বারবার জ্বর আসা, শ্বাসকষ্ট, গলায় ব্যথার মত সমস্যা হয়, তবে ভাইরাল প্যানেল টেস্ট করিয়ে নিন। সঙ্গে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।