shrestonews
ঢাকাআজ: বৃহস্পতিবার,২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য

শ্রেণিকক্ষ সংকট, মাঠে বসে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫ ২:৩০ অপরাহ্ণ । ৩১ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আকলাশ শ্যামপুর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে মাধ্যমিক এবং ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে খেলার মাঠে বসে ক্লাস করছে। শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিযোগ নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অবশেষে শীত ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বসে ক্লাস নিতে হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে আলমপুর ইউনিয়নে আকলাশ শ্যামপুর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ এবং ২০১০ সালে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর হতে পৃথক দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবন দুটিতে মোট ১১টি কক্ষের মধ্যে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ, শিক্ষক কক্ষ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রী কমন রুম ও বিজ্ঞানাগার হিসাবে ব্যবহার করার কারণে শ্রেণি কক্ষের সংকট দেখা দেয়। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৯টি শ্রেণি কক্ষের প্রয়োজন হলেও সেখানে পাঠদানের জন্য মাত্র ৬টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। ওই শ্রেণি কক্ষগুলোতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের বেঞ্চ গাদাগাদি করে বসাতে হয়।

বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৮ম শ্রেণি ছাত্র রাহাদ হোসেন জানায়, গত ১ বছর যাবত বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের সংকট হওয়ায় স্যাররা বাধ্য হয়ে খেলার মাঠে ক্লাস পরিচালনা করছেন। অনেক সময় মাটিতে বসে ক্লাস করতে গিয়ে বই, খাতাসহ পরনের কাপড়ে ধুলা, বালি এবং কাদা-ময়লা জমে। এভাবে স্কুলে এসে পড়ালেখা করতে মন চায় না।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল আলম শফিক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়ের ব্যাপক সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে। অথচ শ্রেণি কক্ষসহ অন্য অবকাঠামো সংকট রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিনের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি হিসাবে ৯টি শ্রেণি কক্ষের প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৬টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। বাকি ৩টি শ্রেণি কক্ষের অভাবে অবশেষে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছি। কয়েক বছর ধরে শ্রেণি কক্ষ সংকটের বিষয়টি জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বর্তমান কিছুটা বেড়েছে। সেখানে শ্রেণি কক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে জেলাভিত্তিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চাহিদা চাইলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ব্যাপারে জোর সুপারিশ করা হবে।