গর্ভাবস্থা (pregnancy) একজন মহিলার জীবনের সবথেকে অদ্ভুত ও সুন্দর মুহূর্ত। এ সময় তারা যতটা খুশি থাকবে, ততটাই থাকতে হবে সতর্ক। এ সময় নানা রকম শারীরিক সমস্যার সঙ্গে হরমোনের প্রভাবে মানসিক টানাপোড়েনও দেখা যায়। তাই জীবনের এই বিশেষ সময়ে খাদ্যাভ্যাস (diet) ও সুস্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
তবে এ সময় কিছু কিছু জটিলতা কম-বেশি সব মহিলাদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়। এজন্য বিশেষ কিছু বিশেষ দিকে নজর রাখা উচিত। চিকিৎসকর বলছেন, অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে ব্যায়াম (exercise) করাই যথেষ্ট। তবে ব্যায়ামই কিন্তু যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে অনেক কিছুরই যত্ন নেওয়া জরুরি। এই সময় মাথায় রাখা উচিত, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ফিট না থাকলে নানা সমস্যার দেখা মিলবে। তাই এই পরিস্থিতিতে ফিট এবং সুস্থ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আজকের প্রতিবেদনে ব্যায়াম ছাড়াও আর কী কী মেনে চলতে হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, একজন গর্ভবতী যখন খাবার খাচ্ছেন, সেই পুষ্টি তার শিশুও পায়। তাই গর্ভবতী মহিলার খাবার হতে হবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে আপনি চাইলে, একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করেও ডায়েট চার্ট তৈরি করতে পারেন। এতে নারী ও গর্ভে থাকা শিশু উভয়ই সুস্থ ও ফিট থাকবে। পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া বিশেষভাবে জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে গর্ভাবস্থায় মহিলারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যা থেকে সরাসরি কুপ্রভাব পড়ে শিশুর উপরও। মনে রাখবেন, হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ মহিলা ও শিশু, উভয়ের উপরই সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই মানসিক চাপ এড়াতে গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান করুন। এতে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে ফিট রাখতে পারবেন। পেটে চাপ দেবেন না গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকা অনুচিত। এছাড়াও মনে রাখবেন, এই সময় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা একেবারেই এড়াতে হবে। চেষ্টা করুন, গর্ভাবস্থায় যেন কোনও ভারী জিনিস না তোলা হয়। সঙ্গেই ঘরের কাজ থেকেও দূরে থাকতে হবে। কারণ, এইসব কাজ করলে পেটে চাপ তৈরি হবে। যার কারণে মা ও শিশু, উভয়েরই স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ফিট ও সুস্থ থাকতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় খাবার খান গ্রহণ করুন। এটির মাধ্যমে, আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের আরও ভালভাবে যত্ন নেওয়া যেতে পারে।