বাংলাদেশ ও চীনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আরও বৃহত্তর ভূমিকা পালনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের পথ সুগম করেছে।
চীনের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সেখানে গ্রামীণ ব্যাংক ও সামাজিক ব্যবসার প্রচলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকের সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
অধ্যাপক ইউনূস আজ বেইজিংয়ের দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল-এ চীনা ব্যবসায়ীদের সাথে একটি বিনিয়োগ সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে চীনা বিনিয়োগকারীদের ধারণা প্রদান এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করা।