shrestonews
ঢাকাআজ: শনিবার,১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এমপি পদ ছাড়তে চাপ টিউলিপকে

shrestonews
জানুয়ারি ২৬, ২০২৫ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ । ৫২ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এবার টিউলিপকে এমপি পদ ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এমপি ছাড়ার দাবির মুখে পড়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক চলতি মাসেই ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এবং তার পরিবারেরা সদস্যরা বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল আত্মসাত করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীদের নৈতিকতা পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আহবান জানান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লরি ম্যাগনাস জানান, টিউলিপ সিদ্দিক তার কাছে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে জনগণকে ‘ভুল তথ্য’ দিয়েছিলেন। টিউলিপ দাবি করেছিলেন, তাকে লন্ডনের কিংস ক্রসে কোনো ফ্ল্যাট তাকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়নি।

এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে। আগামীকাল সোমবার এক পিটিশনের মাধ্যমে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মুখোমুখি হওয়ার দাবি জানানো হবে।

এ বিষয়ে টিউলিপের আসনে বিরোধী দলের নেতার লিফলেট বিতরণ করেছেন। কিছু লিফলেটে টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্যামডেনের জ্যেষ্ঠে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ডগলাস মন্তব্য করেছেন, ‘সে সবার ধারণার মতো ভদ্র মেয়ে নয়।’

এর আগে, টিউলিপ সিদ্দিক গত ১৪ জানুয়ারি ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর ঠিক ২৬ দিন আগে ডেইলি মেইলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তের খবর প্রকাশিত হয়। সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী লেবার পার্টির প্রধান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস জানান, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক আরও সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত বাড়িগুলোর কর এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়াটাও অনাকাঙ্ক্ষিত।

টিউলিপ সিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের মুখে পড়েন। পরে তাকে নিজের বক্তব্য সংশোধন করতে হয়। বিষয়টিকে স্যার লরি ম্যাগনাস ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেন। স্যার লরি তার তদন্ত প্রতিবেদনের উপসংহারে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও স্যার কিয়ের স্টারমারকে তার দায়িত্ব নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।

এরপর টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, তার জন্য ‘ভবিষ্যতে দরজা খোলা থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।