shrestonews
ঢাকাআজ: সোমবার,৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য

রামপালের হাতিরবেড়ে জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১১, ২০২৫ ৫:০৩ অপরাহ্ণ । ৩৬ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রামপালের হাতিরবেড়ে নিলামে ক্রয়কৃত বিপুল পরিমাণ জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে তিথি মন্ডল গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপুর্যপুরি অভিযোগে নাজেহাল হচ্ছেন প্রকৃত জমির মালিকগণ। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, উপজেলার সুলতানিয়া জেএল ৭৭ নং মৌজার এসএ ৯৯ খতিয়ানের ১৬.৩২ একর জমির মধ্যে মোট ৮.১৬ একর জমি নিলাম হয়। নিলামকৃত জমি গত ইংরেজি ২০-০৮-১৯৩৭ সালে ক্রয় করেন যথাক্রমে ঝনঝনিয়া গ্রামের বরিউল্লাহ শেখ ওরফে রবিউল্লা শেখের ছেলে মুন্সি কামাল উদ্দিন শেখ এবং বড় নবাবপুর গ্রামের ভীম চন্দ্র বালার স্ত্রী আনন্দময়ী বালা। যা খুলনার আদালত কর্তৃক ইং ২০-০৯-১৯৩৭ সালে বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে ওয়ারিশগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রতিপক্ষ তিথি মন্ডল জোরপূর্বক জমির মাটি কেটে সেখানে পুকুর কেটে লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করে দেন এবং জমিতে মাছ চাষ শুরু করেন। ওই বিপুল পরিমাণ জমি দখলে রাখতে রামপাল থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে গাববুনিয়ার ফিরোজ মল্লিক, ভাগার আকবর হোসেন আকো, নাসির শেখ, হালিম শেখ, হাসান সরদার, পরিতোষ মন্ডলসহ বেশে কিছু মানুষের বিরুদ্ধে হায়রানিমূলক অভিযোগ করেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়নি। এরপরে তিথি গংয়েরা নানানভাবে ষড়যন্ত্র করছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ফিরোজ মল্লিক জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে কামাল উদ্দিন শেখের কাছ থেকে পাওয়ারনামা নিয়ে জমিজমা দেখাশোনা করে আসছি। বাদি তিথি মন্ডল ওয়ারিশ না হলেও বিআরএস রেকর্ড প্রাপ্ত হয়ে জমি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি সে অহেতুক অভিযোগ করে হয়রানি করছে। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জমি বুঝে নিতে চান। 

অভিযোগের বিষয়ে তিথির কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি জমির মালিক। আমার নামে বিআরএস রেকর্ড আছে। তবে মালিকানা সংক্রান্ত দলিল তিনি দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সহকারী কমিশনার মহোদয় এর মাধ্যমে শালিস করে ফয়সালা দেয়া হয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।