shrestonews
ঢাকাআজ: রবিবার,২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাবেক আইজিপি বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ৮:০৯ অপরাহ্ণ । ৬৯ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের  আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তার ছোট মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেয়া হয়।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এদিন দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন।

জীশান মীর্জার আবেদনে বলা হয়, তিনি মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করেছেন।

এছাড়া বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জীশান মির্জাকে এসব অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা করা হয়েছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, আয়কর অফিস থেকে রেকর্ডপত্র জব্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজান ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করেছেন। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র‍্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাজসীন রাইসাকে অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।