shrestonews
ঢাকাআজ: শনিবার,১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ/১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি চাকুরীজীবি! ফ্যামিলি কার্ডে পেশা দিনমজুর

মোঃ বিপ্লব, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)
জানুয়ারি ৪, ২০২৫ ৯:৩৪ অপরাহ্ণ । ১৪৫ জন
Link Copied!
একাত্তর পোস্ট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্ডের  স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড  নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে চলছে ব্যপক আলোচনা। এ নিয়ে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়েছে বিষয়টি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক সমস্ত উপজেলা জুড়ে।

তবে এ বিতর্কের দায়ভার নিতে চান না ওয়ার্ডে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের পেশা দেয়া হয়েছে দিনমজুর। অথচ তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক, শিক্ষক, কেরানি, ভূমি অফিসের মোহরার, এমনকি স্বাস্থ্য বিভাগের সেবিকার স্বামী কলেজ এর লাইব্রেরিয়ানসহ অনেক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

জানা গেছে, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া রব্বানী পারভেজ যার কার্ড নাম্বার হলো ৯৪৮৬০৫৫০০০৫৬৭। তিনি উপজেলার চাপোর পাব্বতীপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা।

গাজিরহাট ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম যার কার্ড নং – ৯৪৮৬০৫৫০০০৭২৩। তার কার্ডে পেশা হিসেবে রয়েছে দিনমজুর।

হরিপুরের আদর্শ কলেজের লাইব্রেরিয়ান রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। যার কার্ডে রয়েছে পেশা দিনমজুর। যার কার্ড নং – ৯৪৮৬০৫৫০০১১৭৪।

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, আমাদের নাম কিভাবে কার্ডে এলো বুঝতে পারছিনা। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে এরা অনেক আগে থেকেই সুবিধা ভোগ করে আসছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৭ নং ওয়ার্ড এ দায়িত্বে থাকা আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, আমার ওয়ার্ডে যেসব ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন তারা পাওয়ার যোগ্য না। তাদের কার্ডগুলো বাতিল করা হবে।

যারা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাওয়ার যোগ্য তারা বলছেন, ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের গাফিলাতির কারণেই ধনী ব্যক্তিরা কার্ডের আওতায় আসছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, কার্ডগুলোর বিষয়ে আমরা জেনেছি। যারা পাওয়ার যোগ্য না তাদের কার্ডগুলো বাতিল করা হবে।